পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গোরু

নৃসিংহ ভাদুড়ি । হিন্দু ধর্ম নিয়ে লেখেন । রামায়ণ , মহাভারত , বেদ ,পুরান  ইত্যাদী । তিনি তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী । তিনি কালকে ABp আনন্দে গোরু খাওয়ার ধর্মীয় ফিরিস্তি দিচ্ছিলেন । এখন কথা হচ্ছে , এই নৃসিংহ ভাদুড়ি মাছ ছাড়া কোন প্রকারের মাংস খান না । কথায় আছেন না সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে । নৃসিংহ ভাদুড়ির দশা তাই হয়েছে । কেননা তিনি যে তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী । তাই তেনাকে গোরু খাওয়ার পক্ষেই বলতে হবে । এখানে বলে রাখা ভাল । আমি কিন্তু গোরু খাওয়ার বিপক্ষে না । যার যা খাদ্যাভাস সেটি সরকার নিয়ন্তন্ত্রন করুক এ আমি কখনই চাই না । তার আমি তীব্র বিরোধীতাও করেছি ।  কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ধান্দাবাজ বুদ্ধিজীবীদের মন আর বাহিরের কথার আপনি কখনই এক পাবেন না । নৃসিংহ মহাশয় শাস্ত্র জানা পণ্ডিত ব্যাক্তি । তিনি যখন জানতেন হিন্দু শাস্ত্রে গোরু খাওয়ার বিধান আছে , তবে এতদিন হিন্দু পণ্ডিত হয়ে কেনো নিজ পরিবার সহ হিন্দু সমাজে গোরু খেতে উৎসাহিত করেননি ! আজ কেনো তৃণমূলের মত একটা মোল্লা তোষন দলের হয়ে তাকে গোরু খাওয়ার পক্ষে  বলতে হচ্ছে ? কি অদ্ভূত আপনার পাণ্ডিত্ব ।  আজ তৃণমুলের তোষণবাজ রাজনীতিকে কায়েম করতে তাকে বলতে হচ্ছে হিন্দুদের গোরু খাওয়া শাস্ত্র সম্মত । আপনারা কতটা ধান্দাবাজ সে কথা পশ্চিমবঙ্গবাসির জানতে বোধহয় আর বাকি নেই । মেরুদণ্ডহীন বুদ্ধিজীবী দিয়ে আর যায় হোক দেশের মঙ্গল হয় না ।
    -নাস্তিক দেব